পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী
বাংলাদেশ থেকেই পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসা বানানো সম্বভ। ঢাকায় পর্তুগিজ দূতাবাসের অফিস রয়েছে। এছাড়া https://lisbon.mofa.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটের মাধমেও পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা সম্পর্কে জানা যায়। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে কাজের জন্য যেতে ঐ দেশের ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। যার কারণে কাজের ভিসা, জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বানাতে হবে। পর্তুগালে বাংলাদেশিদের জন্য অনেক কাজের ভিসা আছে। প্রতি ভিসায় ঐ দেশে যেতে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা লাগবে। পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী এর মধ্যে শ্রমিক ভিসা, কোম্পানি ভিসা, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসা সহ আরও ভিসা রয়েছে। সঠিক আবেদনের মাধ্যমে ওয়ার্ক ভিসা পেতে পারেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী
ইউরোপের একটি উন্নত দেশ পর্তুগাল। পর্তুগিজ ফুটবল খেলা ব্যাতিত অনেক ধরনের কাজ ও বিজনেস করে। তাদের অতিরিক্ত শ্রমিকের জন্য বিভিন্ন দেশে কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও ভাষা জানা থাকলে পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া সম্বভ। এজন্য বাংলাদেশি পর্তুগাল দূতাবাস বা ভিসা এজেন্সিদের সাথে যোগাযোহ করতে হবে। তাদের কাছ থেকে পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসা আবেদন করবেন। ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে যেকোনো একটি কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন।
সরকারি ভাবেও পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তবে সব সময় এখানে নিয়োগ দেওয়া হয় না। পর্তুগাল সরকার বা তাদের দেশের কোণও কমাপানি থেকে কাজের নিয়োগ প্রকাশ করলে, বোয়েসেল এর কাছে দেওয়া হয়। সকল সরকারি ভিসার নিয়োগ বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। নিচের এই ভিসা গুলো সরকারি ও বেসরকাই ভাবে পাওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসা ২০২৪।
ড্রাইভিং ভিসা।
রেস্টুরেন্ট ভিসা।
কোম্পানি ভিসা।
জব ভিসা।
ক্লিনার ভিসা।
শ্রমিক ও লেভার ভিসা।
কৃষি ভিসা।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসার দাম কত
ভিসার ধরনের উপর ভিসার দাম নির্ভর করে। পর্তুগালের বিভিন্ন শহরে কাজ রয়েছে। ভালমানের কাজের জন্য একটি ভালো ভিসা বানাতে হবে। পর্তুগালের উন্নত মানের ভিসা পেতে উচ্চশিক্ষা, কাজের দক্ষতা ও পর্তুগিজ ভাষা জানা থাকতে হবে। এই সকল ভিসার জন্য ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লাগবে। বিভিন্ন অফিসে বা কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। আর কিছু ভিসা রয়েছে যাদের দাম ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা। এই দামে সাধারণ মানের ভিসা পাওয়া যাবে। তবে এই ভিসায় ভালো ভালো কাজ পাওয়া যায়।
পর্তুগালের রেস্টুরেন্টে, হোটেলে বা দোকানে চাকরির জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় ভিসা রয়েছে। রেস্রুরেন্ত ভিসা রেস্টুরেন্টের কাজ, হোটেল ভিসা হোটেলের কাজ পাওয়া যাবে। এই দামের ভিসায় সাধারণ মানের কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। এছাড়া শ্রমিকের কাজ, লেভারের কাজ, বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও কল-কারখানায় কাজ এই ভিসায় করতে পারবেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের দ্রুতাবাসের মাধ্যমে ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। ভিসা আবেদনের জন্য €80 লাগবে। এছাড়া আরও অনেক খরচ রয়েছে। সকল খরচ সহ পর্তুগালের কাজের ভিসার আবেদন করতে ১ থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা লাগে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা আবেদন করা যাবে। এছাড়া https://boesl.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি ভাবে ভিসা বানাতে পারবেন। ভিসা আবেদনের পূর্বে অনেক ধরনের ডকুমেন্ট ও যোগ্যতা লাগবে।
- কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তুলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট।
- এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো কপি।
- কাজের জন্য নুন্যতম বয়স।
- পুলিশ ক্লিয়ারন্সে।
- মেডিকেল টেস্ট
- শিক্ষাগত যুগটার সার্টিফিকেট।
এই সকল ডকুমেন্ট থাকলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। পর্তুগালে অনেক কাজ পাওয়া যাবে। তাই আপনি কোন কাজের যাবেন, তার উপর নির্ভর করে ভিসা বানাতে হবে। বাংলাদেশি দ্রুতাবাসের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আর সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট পেতে বোয়েসেলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ৮ থেকে ১২ লাখের মধ্যে পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা পেয়ে যাবেন।
আরও দেখুনঃ