কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় ২০২৪
কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য অনেক ক্যাটাগরির ভিসা আছে। কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কলিং ভিসা, ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা, পড়াশুনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা ও চিকিৎসার জন্য বিজনেস ভিসা। এছাড়া কোনো প্রবাসী কানাডাতে ব্যবসায় করতে চাইলে তাকে বিজনেস ভিসা বানাতে হবে। বসবাসের জন্যও আলাদা ভিসা বানিয়ে সেখানে থাকতে পারবেন। এই ভিসা গুলো পেতে হলে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় গুলো জানতে হবে।
বেশ কয়েকটি মাধ্যমে ভিসা পাওয়া যাবে। কাজের ভিসা গুলো সরকারি ভাবেও পাওয়া যায়। অনেক সময় কানাডা সরকার শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশে নিয়োগ দেয়। সেখানে আবেদনের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হবে। কিভাবে ভিসা পাবেন, ভিসা আবেদনের নিয়ম ও ভিসা পেতে কত টাকা লাগবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনেনিন।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক গুলো মাধ্যমে আছে। কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ভিসা বানাতে হবে। আর কোন ক্যাটাগরির ভিসা বানাবেন এর উপর নির্ভর করে ভিসা কিভাবে পাবেন। সরকারি ভাবেও অনেক সময় ফ্রি ভিসা পাওয়া যায়। আবার কম খরচে কাজের জন্য সরকারি ভিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে শড়কাই ভিসার আবেদন করা যাবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়োগ দেয়।
কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনে সিলেক্ট হলে ভিসা বানিয়ে দিবে। এখানে অনেক কম দামে কানাডা ভিসা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেসরকারি ভাবেও কানাডার ভিসা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে অনেক গুলো ভিসা এজেন্সি আছে। আপনি যে ধরনের ভিসা বানাতে চাচ্ছেন, তাদের সাথে সেই বিষয়ে কথা বলবেন। বেসরকারি ভাবে ভিসার দাম অনেক বেশি।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় ২০২৪
২০২৪ সালের দিকে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় আরও কিছুটা সহজ হয়েছে। অনলাইনের এই সময়ে ঘরে বসেই কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এই দেশের ভিসা পাওয়ার সহ উপায় হচ্ছে অনলাইনে আবেদন করা। কানাডার ভিসা আবেদনের জন্য https://visaguide.world/canada-visa/ এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। সেখানে ভিসার ধরন, আবেদনের যোগ্যতা ও সকল নিয়ম কানুন দেওয়া আছে।
এছাড়া https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/visit-canada/apply-visitor-visa.html এই ঠিকানা থেকেও কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ মাধ্যম গুলো পাবেন। তবে আবেদনের নিয়ম না জেনে থাকলে আপনাকে এজেন্সিদের সহযোগিতা নেওয়া লাগবে। বাংলাদেশের যেকোনো ভিসা এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে হবে। কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই কানাডীয় ইমিগ্রেশন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব অধিদপ্তর (IRCC) দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। তাহলে অবশ্যই খুব সহজ ভাবে ভিসা পেয়ে যাবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার উপায়
এই ভিসা ভ্রমণের জন্য বানাতে হয়। যাকে টুরিস্ট ভিসাও বলা হয়। যদি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ভ্রমণের জন্য যেতে চান, তাহলে ভিজিট ভিসা বানাতে হবে। অনেক সময় লটারির মাধ্যমে ভিজিট ভিসা পাওয়া যায়। আর লটারি পেলে ভিসার জন্য টাকা লাগবে না। ভিজিট ভিসা পেতে প্রথমে পাসপোর্ট বানাতে হবে। এরপর ভ্রমণ বিমা মেডিকেল টেস্ট, এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদ সহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো ভিসা এজেন্সিদের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসা বানাতে পারবেন। মূলত যারা বিদেশে ট্যুর ও ট্রসভেলস নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে খুব সহজে কানাডা ভিজ ভিসা পাওয়া যাবে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
বেশ কয়েক উপায়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন। প্রথমত সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে শেয়ার করি। কোনো দেশের কাজের জন্য অনুমতি পেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বানাতে হবে। কোম্পানি ভিসা বা যেকোনো জব ভিসাই হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে বেশির ভাগ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সরকারি ভাবে নিয়োগ আসে। কানাডায় শ্রমিকের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলে ঐ ভিসায় আবেদনের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাবে। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় বোয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিয়োগ পেয়ে আবেদন করা। অথবা তাদের অফিসে যোগাযোহ করতে পারেন। https://boesl.gov.bd/ এই বোয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ঠিকানা।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডায় পড়াশুনার জন্য আসে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ফ্রিতেও কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পায়। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উত্তম উপায় স্কোলারশীপ পাওয়া। স্কোলারশিপের মাধ্যমে ফ্রিতে বা কম খরচে কানাডার ভিসা পাওয়া যাবে। আর এই দেশের শিক্ষা লাভের জন্য আসতে বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্ট থাকতে হবে। আর যদি ILTTES করতে পারেন, তাহলে খুব সহজে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবে। সাথে খরচ অনেক কম হবে।
কানাডা স্থায়ী ভাবে বসবাস করার ভিসা পাওয়ার উপায়
এই ভিসা পাওয়া কিছুটা ডিফিকাল্ট। যদি আপনার কোনো কাছের মানুষ আগে থেকেই কানাডা থাকে তাহলে, খুব সহজে ঐ দেশের ভিসা পাবেন। এমন কি স্থায়িভাবে বসবাস করার ভিসা বানাতে কোনো প্রকার খরচ নাও লাগতে পারে। কানাডার বসবাস করার জন্য ভিসা বানাতে অনেক ধরনের ডকুমেন্ট লাগবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি কাজের দক্ষতা থাকা লাগবে। তাহলে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার ভিসা পাবেন। এক সময় ঐ দেশের নাগরিক হয়ে যাবেন। আর একটি সহজ উপায় হচ্ছে যেকোনো ভিসা কানাডা যেয়ে ঐ দেশে ববাহ করলে কানাডার নাগরিক হতে পারবেন। এই ভাবেও স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যাবে।
কানাডা কলিং ভিসা পাওয়ার উপায়
এটিও এক ধরনের কাজের ভিসা। কলিং ভিসার জন্যও বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কলিং ভিসা পাওয়া যাবে। সরকারি ভাবে পেতে বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর বেসরকারি ভাবে পেতে যেকোনো ভিসা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করবেন। বিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা থাকা লাগবে। কাজের ধরন ও ভিসার উপর আবেদন যোগ্যতা নির্ভর করে। তাই আবেদনের পূর্বে ভিসা সম্পর্কে জেনে নিবেন।
কানাডা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
ভিসার ধরনের উপরে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে। ভিসা আবেদনের পূর্বে অনেক ধরনের আবেদন যোগ্যতা লাগবে। এই সকল কাগজ পত্র গুলো সংগ্রহ করে নিবেন। কানাডায় ভিসা আবেদনের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারবেন। তার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। কানাডা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাঃ
- কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতা।
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা।
- ব্যাংক-ব্যালেন্স এর ডকুমেন্ট
- ILTTES এর সার্টিফিকেট।
ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে কাগজ পত্র পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত সকল ধরনের ভিসায় এই ডকুমেন্ট গুলো লাগবে। এই কাগজ পত্র থাকলে খুব সহজ উপায়ে কানাডার যেকোনো ভিসা পাওয়া যাবে।
শেষ কথা
প্রতি ভিসা পেতে আলাদা আলাদা যোগ্যতা লাগে। আর এই সকল যোগ্যতা না থাকলে কোনো ভাবেই ভিসা পাওয়া যাবে না। সহজ উপায়ে ভিসা পেতে এজেন্সিদের সাহায্য নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট, কলিং বা কাজের ভিসার জন্য বোয়েসেলের কাছে আবেদন করতে পারেন। আশা করছ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।