কাজ, ভ্রমণ, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়া যায়। এই ভিসার ধরনের উপর এর দাম নির্ভর করে। মালয়েশিয়াতে কাজের জন্য অনেক ক্যাটাগরির ভিসা আছে। সাধারণত এই দেশে বেশির ভাগ মানুষ কাজের জন্য আসে। মালয়েশিয়াতে এখনো অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করতেছে। এজন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বানাতে হবে। মালয়েশিয়ার কাজের ভিসার দাম ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা।
লেভার, শ্রমিক বা ক্লিনারের কাজের জন্য কম খরচে ভিসা পাওয়া যাবে। এই সকল কাজের জন্য ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা। ভ্রমণের অন্য মালয়েশিয়া আসতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ভিসার দাম নেওয়া হয়। এছাড়া ভিসার ধরন, আবেদনের মাধ্যম ও ভিসা এজেন্সিদের উপর ভিসার মূল্য নির্ভর করে। প্রতিটি এজেন্সি ভিন্ন ভিন্ন দামে ভিসা বানিয়ে দেয়। ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে এই দেশে কোন ভিসার দাম কত টাকা জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
এই দেশের ভিসার দাম জানার আগে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত ৪ ধরনের ভিসা থাকলে, কাজের ভইসরা মধ্যে অনেক গুলো ক্যাটাগরি আছে। মালয়েশিয়াতে উচ্চমানের কাজের জন্য আসতে চাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। সাথে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ হবে। এছাড়া ভিসার দাম প্রায় ৭ লাখ টাকা লাগবে। মালয়েশিয়াতে ভ্রমণের জন্য আসতে টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা বানাতে হবে। এই ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
এছাড়া এখানে বিজনেস বা ব্যবসায় করার জন্য ভিসা পাবেন। এজন্য বিজনেস ভিসা বানাতে হবে। বিজনেস ভিসার জন্য ব্যাবসায়িক ডকুমেন্ট লাগবে। মালয়েশিয়াতে চিকিৎসার জন্য আসতে মেডিকেল ভিসা লাগবে। যার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। আর পড়াশুনার জন্য আসতে স্টুডেন্ট ভিসা লাগবে। এই দেশের স্টুডেন্ট ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। তবে এখানে বেশিরভাগ মানুষ কাজের উদ্দেশ্য আসে।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪
২০২৪ সালের এই সময়ে মালয়েশিয়ার ভিসার দাম বেড়েছে। আগে এখানে আসতে মোট ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগতো। কিন্তু এখন মালয়েশিয়া ভিসায় এই দেশে আসতে প্রায় ৭ লাখের উপরে লাগে। ভিসার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে ভিসা বানার খরচ বেড়েছে। ডলারের রেট বৃদ্ধি পাওয়াও বিমানের টিকিটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসার বর্তমান দাম ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত। এছাড়া ভিসা ক্যাটাগরি ও এজেন্সিদের উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করে।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
কাজের জন্য মালয়েশিয়া সরকার থেকে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হবে। আর এই কাজের ভিসাকে ওয়ার্ক পারমিট বলা হয়। সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সরকারি ভাবে বানাতে হয়। মালয়েশিয়াতে নতুন কাজ শুরু হলে, অতিরিক্ত শ্রমিকের জন্য বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দেয়। এই সকল নিয়োগে যোগ্যতা স্বরূপ আবেদন করে অয়ায়রক পারমিট পেতে হবে। আবেদনে যারা সিলেক্ট হবে, তাদের কে মালয়েশিয়া থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে। এই ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এটা নিয়োগের উপর নির্ভর করে। অনেক সময় বেসরকারি ভাবেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তখন এই ভিসা পেতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগে। সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভসিয়ার জন্য বোয়েসেলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার ভিসার দাম কত
এটি এক ধরনের কাজের ভিসা। কলিং ভিসাও সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে প্রকাশ করে। অনেক সময় বোয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কলিং ভিসার বিজ্ঞপ্তি দেয়। কাজের অভিজ্ঞতা ও আবেদনের নুন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার দাম ৪ লাখ টাকা। কাজের ধরন ও কোম্পানির উপর কলিং ভিসার মূল্য নির্ভর করে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়া অনেক জনপ্রিয়ও। এই দেশে ভ্রমণের জন্য ভিজিট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা চালু আছে। পর্যটকদের জন্য টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়। টুরিস্ট ভিসায় একটা মেয়াদ থাকে। এই সময় পর্যন্ত মালয়েশিয়াতে ভ্রমণ করা যাবে। মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার মূল্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। তবে এটা ভিসার মেয়াদ, সদস্য সংখ্যা ও এজেন্সির উপর নির্ভর করে। চাইলে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে পরিবার সহ ভ্রমণ করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসার দাম কত
ভিজিট ভিসা হচ্ছে পর্যটকদের জন্য। যারা দেশ-বিদেশ ঘুরে বেরায় তাদের কে পর্যটক বলে। যেহেতু তারা বিদেশে ঘিয়ে কোনো কাজ করবে না, তাই তাদের কে কোনো কাজের ভিসা বানাতে হবে। যারা শুধু ঘুরার জন্য বিদেশ যাবে, তাদের কে ভিজিট ভিসা বানাতে হবে। এই দেশের ভিজিট ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। তবে অন্য দেশ থেকে মালয়েশিয়া আসতে এর থেকে বেশি দামও ভিসা বানানো লাগতে পারে। দেশের উপরেরও ভিসার মূল্য নির্ভর করে। আবার কোনো দেশে ভিজিটরদের জন্য এই ভিসা ফ্রিতেও দিতে পারে।
মালয়েশিয়া কাজের ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়াতে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যাবে। কাজের ক্যাটাগরির উপরে এই দেশে কাজের ভিসার দাম নির্ধারন করা হয়। সরকারি ভাবে কাজের ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। কিন্তু বেসরকারি ভাবে মালয়েশিয়ার কাজের ভিসার মূল্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। ক্লিনার, লেভার, কোম্পানি, ফ্যাক্টরি ও কৃষিকাজের জন্য মালয়েশিয়ায় আলাদা আলাদা ভিসা আছে। এদের উপর ভিত্তি করে ভিসার মূল্য ৪ লাখ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত
এখানে নানা ধরনের ফ্যাক্টরি আছে। সাধারণ মানের ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক বা লেভার হিসেবে কাজ পাওয়া যাবে। বোর্ড পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের উচ্চ দক্ষতা থাকতে হবে। তাই এই ভিসা বানার পূর্বে আবেদনের যোগ্যতা যাচাই করে নিবেন। এই ধরনের ভিসার দাম একটু বেশি। মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি ভিসার মূল্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। এছাড়া ভিসা এজেন্সিদের উপর নির্ভর করে। সময়ের সাথে ভিসার মূল্য কম বেশি হবে।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত
যদিও বাংলাদেশ থেকে পড়াশুনার জন্য তেমন কোনো শিক্ষার্থী আসে না। কিন্তু এই দেশের শিক্ষালাভ করতে স্টুডেন্ট ভিসা বানিয়ে আসতে হবে। এজন্য বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কোলারশীপ পেতে হবে। ফ্রি ভিসায়ও পড়াশুনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। এই ভিসার দাম অনেক কম। ৩ থেকে ৪ লাখের মধ্যে মাল্যেসি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবে।
মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসার দাম কত
এই ভিসা ব্যবসায়িক কাজের জন্য। যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে ব্যবসায়িক কাজে আসে, তাদের কে বিজনেস ভিসা বানাতে হবে। বিজনেস ভিসার মাধ্যমে এখানে ব্যবসা করতে হবে। ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে এই দাম নির্ধারন করা হয়েছে। ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা পাওয়া যাবে।
শেষ কথা
এছাড়া আরও অনেক ক্যাটাগরির ভিসা আছে। স্থায়ী ভাবে বসবাস এর জন্যও মালয়েশিয়ার ভিসা বানাতে পারবেন। বর্তমানে ডলারের রেট বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে সকল ভিসার দাম বেড়েছে। কাজের ধরনের উপর ভিসা বনাতে হবে। আর এই ভিসার ধরনের উপর ভিসার দাম নির্ভর করে। ৫ থেকে ৭ লাখের মধ্যে মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়া যাবে। এজন্য বেশ কয়েকটি এজেন্সিদের সাথে যোগাযহ করবেন। আশা করছি মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত টাকা বিস্তারিত জেনেছেন।
আরও দেখুনঃ
1 thought on “মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত টাকা ২০২৪”