ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এক দেশে থেকে অন্য দেশে যেতে ভিসা বানাতে হবে। বেশ কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে। যেমন কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, জব ভিসা বা কোম্পানি ভিসা ইত্যাদি। ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা। পড়াশুনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা। চিকিৎসা করার জন্য মেডিকেল ভিসা। এই সকল ভিসার আবেদন করতে বেশ কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে কোন ভিসার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন হবে। নিচে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা লাগবে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসা বানানোর জন্য সর্ব প্রথম কম পক্ষে ৬ মাস মেয়াদি পাসপোর্ট লাগবে। পাপ্সরত ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এজন্য নিশ্চিত করুন, আপনার কাছে একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে। এরপর ভিসা অফিসে বা আবেদনের সময় ভিসা সিলেক্ট করতে হবে। চাকরি, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্ট লাগে। তবে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, মেডিকেল টেস্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পুলিশ ক্লিয়ারনেস এই সকল কাগজ পত্র সকল ভিসার জন্য লাগবে। এখানে কোন ভিসার জন্য কোন ধরনের ডকুমেন্ট লাগবে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
- ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তোলা ৩৫০x৩৫০ পিক্সেল এর রজ্ঞিন ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি ফটোকপি। অথবা যবন সনদ এর ফটোকপি।
- কাজের ডকুমেন্ট।
- ব্যাংক ব্যালেন্স এর ডকুমেন্ট।
- অনলাইন ভিসা এপ্লিকেশন ফরম।
কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভারতে কাজের জন্য তেমন কোনো মানুষ যায় না। তবে কেউ গেলে তাদের কে কিছু ডকুমেন্ট এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হবে। যদি এই সকল ডকুমেন্ট আপনার কাছে না থাকে, তাহলে ভিসা বানাতে পারবেন না। তাই আবেদনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- ৬ মাস মেয়াদি পাসপোর্ট।
- এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
- সদ্য তোলা ৩৫০x৩৫০ পিক্সেল এর রজ্ঞিন ছবি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা স্বরূপ ডকুমেন্ট।
- মেডিকেল টেস্ট।
- ভিসা এপ্লিকেশন ফরম।
বিজনেস ভিসার জন্য যা যা লাগবে
ববসায়িক কাজে বা বিজনেস করতে ভারতে গেলে বিজনেস ভিসা বানাতে হবে। বিজনেস ভিসা বানাতে ভিন্ন ধরনের কাগজ পত্র লাগবে। বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে নিচে দেওয়া ডকুমেন্ট গুলো লাগবে।
- আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর।
- আমন্ত্রণ পত্র বা পৃষ্ঠপোষক সংস্থা/কোম্পানীর একটি চিঠি।
- বাংলাদেশের স্বীকৃত কোন চেম্বার অব কমার্স থেকে সুপারিশ চিঠি।
- শেষ ব্যবসায়িক লেনদেন এর ব্যাপারে, নতুবা ব্যবসায়িক লেনদেনের আবেদনপত্র।
- টিন সহ ট্রেড লাইসেন্স এর একটি কপি।
- ব্যবসায়িক চুক্তির প্রকৃতি বর্ণনা করে সহায়ক পত্র।
- বিগত ৬ মাসের কোম্পানীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি।
- বিগত ৬ মাসের আবেদনকারীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি।
- কোন কোম্পানীতে বা সংস্থাতে কর্মরত থাকলে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তারিখ, অধিষ্ঠিত পদ এবং মাসিক বেতন উল্লেখ করতে হবে।
- ভারতে কোন বাণিজ্য / ব্যবসায় প্রদর্শনী/মেলায় অংশগ্রহণ করতে বা ঘুরতে গেলে, অংশগ্রহণের ধরণের বর্ণনা এবং ফেডারেশন/চেম্বার এর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অথবা প্রদর্শনী/মেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পত্র। স্বল্পমেয়াদী একক সফর ভিসা।
মেডিকেল ভিসার জন্য যা যা লাগবে
বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেশি যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। যার কারণে বেশির ভাগ মানুষ মেডিকেল ভিসা বানায়। মেডিকেল ভিসার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের কাগজ পত্র লাগে। যদি মেডিকেল ভিসা বানাতে চান, তাহলে নিচে দেওয়া রি কাগজ গুলো সঙ্গে রাখবেন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্র ফটোকপি।
- ভারত থেকে মেডিকেল আমন্ত্রণ পত্র।
- স্বীকৃত হাসপাতাল/ ডাক্তার এর কাছ থেকে রোগীর চিকিৎসাধীন অবস্থার বিশদ নির্দেশ সহকারে চিকিৎসার মূল সনদপত্র।
- প্রথম ভ্রমণের ক্ষেত্রে, বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা উপভোগের জন্য উপস্থিত ডাক্তারের কাছ থেকে সুপারিশ।
- হাসপাতালে ভর্তি বা দীর্ঘমেয়াদী।
টুরিস্ট ভিসার জন্য যা যা লাগবে
ভ্রমণের জন্য ভারতে যেতে টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা বানাতে হবে। এজন্য কিছু ডকুমেন্ট থাকতে হবে। ফ্যামিলি ভিসায় গেলে পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য এই সকল কাগজ পত্র থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট।
- এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- শিশুদের জন্য যবন সনদের ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- হোটেল বুকিং এর প্রমাণপত্র।
- ভ্রমণ বীমার প্রমাণপত্র।
শেষ কথা
ইন্ডিয়াতে যাওয়ার জন্য আরও অনেক ধরনের ভিসা আছে। এই সকল ভিসার জন্য আলাদা আলাদা ডকুমেন্ট আছে। এই পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলো শেয়ার করা হয়েছে। ভিসা আবেদনের পূর্বে এই সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করে রাখবেন। আশা করছি ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
2 Comments